Bangla Story "Tomay Bhalobasi" তোমায় ভালোবাসি
তোমায় ভালোবাসি
তিথি একটু শুনবে। (সিহাব)
> শুনতেই তো পাচ্ছি বলো। (তিথি)
-একটা কথা বলতাম। (সিহাব)
> কি এমন কথা বলবে তুমি,যার জন্য ঘেমে যাচ্ছ।
-আমি কি সত্যিই ঘেমে যাচ্ছি।
> সেটা তোমাকে জানতে হবে না,তোমার মুখ
দেখলেই বুঝা যাচ্ছে, ভয় কাজ করছে তোমার
মাঝে ।
-কথাটি বলতে সত্যিই কেমন জেনো ভয় কাজ
করছে,তুমি যদি সেটা অন্য ভাবে নাও।
> কোন সমস্যা নাই আমি স্বাভাবিক ভাবেই নিবো, তুমি
কথাটি বলো।
-এই নাও এই মাসের বেতন,দশ হাজার টাকা পেয়েছি।
আর ঈদ বোনাস সহ ঈদের বেতন পাবো
কয়েকদিন পরে।
> এই বেতনের টাকা আমাকে দিলে কেনো।আমি
কি করবো টাকা।
-তোমাকে বিয়ের পরে তো ভালো কিছু দিতে
পারিনি।
অল্প বেতনের চাকরি করি। সেইজন্য তোমার সব
চাহিদা আমি পূরন করতে পারিনা।
তুমি এইসব না বললেও আমি বুঝি।
> এতো টাকা নিয়ে আমি কি করবো বলো,অল্প
টাকা হলেই হয়ে যাবে আমার।
-তোমার পছন্দের মতন মার্কেট করবে।
> আর তুমি?
-আমি না হয় পরে নিয়ে নিবো।
> বাবা মাকে কি দিবা তাহলে।
-আবার বেতন পেলে ওই টাকা দিয়ে বাবা মাকেও
ঈদের পোশাক কিনে দিবো।
> আচ্ছা ঠিক আছে।
-তিথি।
> আবার কি হলো।
-কিছু মনে করো না,বেশি বেতন পেলে বেশি
কিছু কিনে দিতাম।এই সামান্য টাকার মাঝে যা হয় ওই
গুলো নিয়ে খুশি থেকো।
যখন বেতন বেশি পাবো তখন ভালো কিছু কিনে
দিবো।
> তিথি সিহাবের কথা শুনে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়ে
রুমের ভিতরে চলে যায়।এখন
রান্না করতে হবে তার ,কিছুক্ষণ পরেই ইফতারির
সময় হবে যাবে।
পাগল স্বামীর সাথে এখন কথা বলা যাবে না।
সিহাবকে সে স্বামী হিসাবে পেয়ে আল্লাহকে
অনেক ধন্যবাদ জানায়,ও শুকরিয়া আদায় করে
প্রতিনিয়ত।
এমন পাগল স্বামী কয়জনে মেয়ের কপালে
জোটে। এমন এমন কান্ড করবে সিহাব,যেটা
দেখে না হেঁসে থাকতে পারেনা তিথি।
সিহাবকে পাগল বলতে তিথি ভয় পায় না,কারন সিহাব তো
তার শুধুই তার একার,অন্য কারো নয়।
এমন পাগল স্বামীর সাথে সংসার করে যেতে
হাজারো বিপদকে তিথি মোকাবেলা করে
ফেলবে।
.
সিহাবের সাথে আর কোন কথা বললো না,
তিথি রুমে এসে টাকাটা রেখে রান্না ঘরে চলে যায়।
রান্না ঘরে এসে তিথি রান্নার জন্য ব্যাস্ত হয়ে
পড়ে।
সময় খুব কম,অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে
না এখন।
.
.
এদিকে সিহাব নিজের রুমে বসে চিন্তা করতে
থাকে।
তিথিকে বিয়ে করে সে অনেক সুখি।
অন্য মেয়েদের মতন মুখফুটে কিছু চাই না তিথি।
মেয়েটা যেমন লক্ষী তেমন তার ব্যবহার।
যতক্ষন পর্যন্ত সিহাব তিথিকে কিছু কিনে দিবে না
ততক্ষন তিথিও সিহাবের থেকে কিছু চাইবেও না।
অন্য মেয়েদের মতন তিথির ওতোটা চাহিদা
নেই,সিহাব সেটা এতোদিন বুঝে ফেলেছে,
সেইজন্য,
সৃষ্টিকর্তাকে সিহাব ধন্যবাদ দিয়ে বলে,হে আল্লাহ
আমাদের চাহিদা জেনো আমাদের সার্মথের মাঝে
থাকে।
সবকিছু জেনো আমরা সহজ ভাবে মানিয়ে নিতে
পারি।
তুমি আমাদের এই সামান্য ইচ্ছে গুলো পূরন করার
ক্ষমতাটুকু শুধু দিও।
.
.
সিহাব ও তার পরিবার মিলে আজকে একসাথে তারা
ইফতারি করে।
সবাই অনেক খুশি আজকে।
এই প্রথম পরিবারের সবাই মিলে আজকে একসাথে
ইফতারি করছে।
পরিবারের সাথে ইফতারি কত যে আনন্দের সেটা
সেই বুঝে যারা পরিবারের সাথে ইফতারি করছে।
.
.
পরেরদিন,
.
সিহাব সকালে অফিসে চলে যায়।
যার যার মতন সবাই কর্মবাস্ত হয়ে উঠে।
তিথি বাড়ির সব কাজ গুলো শেষ করে ফেলে।
তিথি সব কাজ শেষে বোরকা পরে মার্কেটের
উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে।
বাড়ির কাছেই মার্কেট,পাঁচটাকা ভাড়া দিলে যে কোন
রিক্সা সেখানে নামিয়ে দিয়ে আসবে।
.
তিথি মার্কেটে এসে বাড়ির সবার জন্য পোশাক
কিনে নিলো।
পোষাক কিনার পরে,তিথি দেখে আরো চার
হাজারের মতন টাকা রয়েছে।
চার হাজার টাকা নিয়ে তিথি বাড়ি ফিরে আসে।
সব টাকা ফুরানো ঠিক না,কখন কি হবে সেটা কেউ
বলতে পারে না। টাকাটা রেখে দিলে কোন এক
সময় কাজে লাগতে পারে,তাছাড়া সব তো কেনা
হয়ে গেছে।
.
.
-কোথাই গিয়েছিলে বউমা (বাবা)
> একটু মার্কেটে গিয়েছিলাম বাবা, মার্কেট করতে।
(তিথি)
-সিহাব যায় নি।
> সেতো অফিসে গেছে।
-ওহ আচ্ছা।
.
তিথি নিজের রুমে এসে সবকিছু চেন্জ করে।
তারপরে বাবা মায়ের জন্য কিনা পোষাক গুলো
নিয়ে বাবার রুমে যায়।
গিয়ে দেখে বাবা মা দুজনেই রুমে রয়েছে।
-বাবা আসবো (তিথি)
> এসো মা (বাবা)
-বাবা আপনের জন্য এই পান্জাবী আর মায়ের জন্য
শাড়ি নিয়ে এসেছি। আর মায়ের জন্য বাকি পোশাক
দর্জির কাছে বানাতে দিয়ে এসেছি।
আর হ্যাঁ এইযে আপনার জন্য এটাও এনেছি বাবা।
> আমাদের জন্য এসব নিয়ে আসতে কে
বলেছে তোমাকে,আর তুমি তো মনে হয়
নিজের জন্য কিছুই নাও নি।
-না বাবা আমিও নিজের জন্যও নিয়েছি,সিহাবের জন্যও
এনেছি, এগুলো কি পছন্দ হয়েছে আপনাদের।
> তোমার পছন্দের কাছে সবার পছন্দ হার মেনে
যাবে মা।
আমাদের পছন্দ হয়েছে।
-এখন তাহলে আমি আসি বাবা রান্না করতে হবে।
> ঠিক আছে মা যাও।
.
দেখেছো সিহাবের মা বউমা আমাদের কত
লক্ষী।
সবার কথা তার মাথার ভিতরে থাকে,কখন কি
প্রয়োজন সেটা সে আগে থেকেই বুঝতে
পারে।
এমন বউমা কইজন বাবা মার কপালে জোটে।
> ঠিক বলেছো তুমি,
এমন বউমা সবাই পাই না।
.
.
তিথি বাবা মায়ের রুম থেকে রান্না ঘরে চলে
আসে,রান্না করতে থাকে তিথি।
কিছুক্ষন পরেই সিহাব চলে আসবে।
এখন ওর অফিস টাইম পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিথি রান্না করা শুরু করে দিয়েছে,হাতে তার অনেক
কাজ।
কিছুক্ষন পরে সিহাব চলে আসে,
তিথি বাইরে তাকিয়ে দেখে সিহাব নিজের রুমের
ভিতরে ঢুকলো।
একবার সিহাবের দিকে তাকিয়ে আবার তিথি রান্নার
দিকে মনযোগ দিলো।
.
.
তিথি রান্না করে চলেছে,
-
-কি ব্যাপার ওখানে দাড়িয়ে আছো কেনো?(তিথি)
> তোমাকে দেখছি (সিহাব)
-আমাকে দেখার কি আছে।
> এইযে সবার জন্য মার্কেট করে
এনেছো,দিয়েছিলাম তো শুধু তোমাকে।
-ভালো পোশাক দিয়ে আমি ঈদ করবো,আর সবাই
করবে না সেটা কি ধরনের আচরন হবে সিহাব,আর
আমার ভালো পোশাক দরকার নেই।
তাহলে বাড়ির সবাইকে অপমান করা হবে।
সেইজন্য ওই টাকার মধ্যে থেকে সব কিছু কিনে
নিয়েছি,সবার জন্য।
এখন সবাই অনেক খুশি।
-সত্যিই তিথি তোমার মতন মেয়ে বিয়ে করতে
পেরে আমি অনেক সুখি।
> থাক আর ঢং করতে হবে না।
আর আমাদের যা ইনকাম সেই অনুযায়ী আমাদের
খরচ করতে হবে।
অযথা বেশি খরচ করে টাকা ফুরানোর কি দরকার।
-সিহাব মনে মনে বলে,আমার চেয়ে ওর চিন্তাই
তো অনেক বেশি, তুমি আসলেই একজন প্রকৃত
নারী, এমন বউ ঘরে থাকলে কোন
স্বামীদেরকে কিচ্ছু চিন্তা করাও লাগবে না।
> সিহাব।
-বলো।
> আমি তোমার থেকে টাকা পয়সা কিছুই চাই না।
চাই শুধু একটু ভালোবাসা,
আর সবসময় তোমাকে আমার পাশে চাই।
> যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমার পাশে
থাকবো,তোমাকে ঘিরেই তো আমার বেঁচে
থাকা।
-যাও রুমে যাও, তোমার জন্য কেনা শার্ট আর বাকি
গুলো দেখো কেমন হয়েছে।
> যাবো না এখন।
-কেনো?
> তোমাকে দেখবো।আর একসাথে বসে
তোমার পছন্দ করার জিনিষ গুলো দেখবো।
-দুষ্টুমি করো না।
> না আমি এখানে থেকে তোমাকে দেখবো।
- জোর করছো।
> হ্যাঁ।
-কোন অধিকারে।
> ভালোবাসার অধিকারে।
-বসে থেকে আমাকে না দেখে,রান্নার কাজে
তো একটু হেল্প করতে পারো।
> আচ্ছা করতেছি,একটু থামো।
-পালানোর চিন্তা করছো নাকি।
> তোমাকে ছেড়ে পালানো অসম্ভব।
-তাহলে আলু সুন্দর করে পানি দিয়ে ধুয়ে কাটতে
থাকো,কেমন করে কাটতে হবে আমি বলতেছি।
- আচ্ছা বলো।
.
সিহাব তিথিকে রান্নার কাজে হেল্প করতে শুরু
করেছে।
এখন তাঁদের মাঝে রয়েছে অনাবিল
ভালোবাসা,যেটা টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব না।
সুখে থাকুক সিহাব আর তিথির মতন পরিবার গুলো।
তিথি একটু শুনবে। (সিহাব)
> শুনতেই তো পাচ্ছি বলো। (তিথি)
-একটা কথা বলতাম। (সিহাব)
> কি এমন কথা বলবে তুমি,যার জন্য ঘেমে যাচ্ছ।
-আমি কি সত্যিই ঘেমে যাচ্ছি।
> সেটা তোমাকে জানতে হবে না,তোমার মুখ
দেখলেই বুঝা যাচ্ছে, ভয় কাজ করছে তোমার
মাঝে ।
-কথাটি বলতে সত্যিই কেমন জেনো ভয় কাজ
করছে,তুমি যদি সেটা অন্য ভাবে নাও।
> কোন সমস্যা নাই আমি স্বাভাবিক ভাবেই নিবো, তুমি
কথাটি বলো।
-এই নাও এই মাসের বেতন,দশ হাজার টাকা পেয়েছি।
আর ঈদ বোনাস সহ ঈদের বেতন পাবো
কয়েকদিন পরে।
> এই বেতনের টাকা আমাকে দিলে কেনো।আমি
কি করবো টাকা।
-তোমাকে বিয়ের পরে তো ভালো কিছু দিতে
পারিনি।
অল্প বেতনের চাকরি করি। সেইজন্য তোমার সব
চাহিদা আমি পূরন করতে পারিনা।
তুমি এইসব না বললেও আমি বুঝি।
> এতো টাকা নিয়ে আমি কি করবো বলো,অল্প
টাকা হলেই হয়ে যাবে আমার।
-তোমার পছন্দের মতন মার্কেট করবে।
> আর তুমি?
-আমি না হয় পরে নিয়ে নিবো।
> বাবা মাকে কি দিবা তাহলে।
-আবার বেতন পেলে ওই টাকা দিয়ে বাবা মাকেও
ঈদের পোশাক কিনে দিবো।
> আচ্ছা ঠিক আছে।
-তিথি।
> আবার কি হলো।
-কিছু মনে করো না,বেশি বেতন পেলে বেশি
কিছু কিনে দিতাম।এই সামান্য টাকার মাঝে যা হয় ওই
গুলো নিয়ে খুশি থেকো।
যখন বেতন বেশি পাবো তখন ভালো কিছু কিনে
দিবো।
> তিথি সিহাবের কথা শুনে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়ে
রুমের ভিতরে চলে যায়।এখন
রান্না করতে হবে তার ,কিছুক্ষণ পরেই ইফতারির
সময় হবে যাবে।
পাগল স্বামীর সাথে এখন কথা বলা যাবে না।
সিহাবকে সে স্বামী হিসাবে পেয়ে আল্লাহকে
অনেক ধন্যবাদ জানায়,ও শুকরিয়া আদায় করে
প্রতিনিয়ত।
এমন পাগল স্বামী কয়জনে মেয়ের কপালে
জোটে। এমন এমন কান্ড করবে সিহাব,যেটা
দেখে না হেঁসে থাকতে পারেনা তিথি।
সিহাবকে পাগল বলতে তিথি ভয় পায় না,কারন সিহাব তো
তার শুধুই তার একার,অন্য কারো নয়।
এমন পাগল স্বামীর সাথে সংসার করে যেতে
হাজারো বিপদকে তিথি মোকাবেলা করে
ফেলবে।
.
সিহাবের সাথে আর কোন কথা বললো না,
তিথি রুমে এসে টাকাটা রেখে রান্না ঘরে চলে যায়।
রান্না ঘরে এসে তিথি রান্নার জন্য ব্যাস্ত হয়ে
পড়ে।
সময় খুব কম,অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে
না এখন।
.
.
এদিকে সিহাব নিজের রুমে বসে চিন্তা করতে
থাকে।
তিথিকে বিয়ে করে সে অনেক সুখি।
অন্য মেয়েদের মতন মুখফুটে কিছু চাই না তিথি।
মেয়েটা যেমন লক্ষী তেমন তার ব্যবহার।
যতক্ষন পর্যন্ত সিহাব তিথিকে কিছু কিনে দিবে না
ততক্ষন তিথিও সিহাবের থেকে কিছু চাইবেও না।
অন্য মেয়েদের মতন তিথির ওতোটা চাহিদা
নেই,সিহাব সেটা এতোদিন বুঝে ফেলেছে,
সেইজন্য,
সৃষ্টিকর্তাকে সিহাব ধন্যবাদ দিয়ে বলে,হে আল্লাহ
আমাদের চাহিদা জেনো আমাদের সার্মথের মাঝে
থাকে।
সবকিছু জেনো আমরা সহজ ভাবে মানিয়ে নিতে
পারি।
তুমি আমাদের এই সামান্য ইচ্ছে গুলো পূরন করার
ক্ষমতাটুকু শুধু দিও।
.
.
সিহাব ও তার পরিবার মিলে আজকে একসাথে তারা
ইফতারি করে।
সবাই অনেক খুশি আজকে।
এই প্রথম পরিবারের সবাই মিলে আজকে একসাথে
ইফতারি করছে।
পরিবারের সাথে ইফতারি কত যে আনন্দের সেটা
সেই বুঝে যারা পরিবারের সাথে ইফতারি করছে।
.
.
পরেরদিন,
.
সিহাব সকালে অফিসে চলে যায়।
যার যার মতন সবাই কর্মবাস্ত হয়ে উঠে।
তিথি বাড়ির সব কাজ গুলো শেষ করে ফেলে।
তিথি সব কাজ শেষে বোরকা পরে মার্কেটের
উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরে।
বাড়ির কাছেই মার্কেট,পাঁচটাকা ভাড়া দিলে যে কোন
রিক্সা সেখানে নামিয়ে দিয়ে আসবে।
.
তিথি মার্কেটে এসে বাড়ির সবার জন্য পোশাক
কিনে নিলো।
পোষাক কিনার পরে,তিথি দেখে আরো চার
হাজারের মতন টাকা রয়েছে।
চার হাজার টাকা নিয়ে তিথি বাড়ি ফিরে আসে।
সব টাকা ফুরানো ঠিক না,কখন কি হবে সেটা কেউ
বলতে পারে না। টাকাটা রেখে দিলে কোন এক
সময় কাজে লাগতে পারে,তাছাড়া সব তো কেনা
হয়ে গেছে।
.
.
-কোথাই গিয়েছিলে বউমা (বাবা)
> একটু মার্কেটে গিয়েছিলাম বাবা, মার্কেট করতে।
(তিথি)
-সিহাব যায় নি।
> সেতো অফিসে গেছে।
-ওহ আচ্ছা।
.
তিথি নিজের রুমে এসে সবকিছু চেন্জ করে।
তারপরে বাবা মায়ের জন্য কিনা পোষাক গুলো
নিয়ে বাবার রুমে যায়।
গিয়ে দেখে বাবা মা দুজনেই রুমে রয়েছে।
-বাবা আসবো (তিথি)
> এসো মা (বাবা)
-বাবা আপনের জন্য এই পান্জাবী আর মায়ের জন্য
শাড়ি নিয়ে এসেছি। আর মায়ের জন্য বাকি পোশাক
দর্জির কাছে বানাতে দিয়ে এসেছি।
আর হ্যাঁ এইযে আপনার জন্য এটাও এনেছি বাবা।
> আমাদের জন্য এসব নিয়ে আসতে কে
বলেছে তোমাকে,আর তুমি তো মনে হয়
নিজের জন্য কিছুই নাও নি।
-না বাবা আমিও নিজের জন্যও নিয়েছি,সিহাবের জন্যও
এনেছি, এগুলো কি পছন্দ হয়েছে আপনাদের।
> তোমার পছন্দের কাছে সবার পছন্দ হার মেনে
যাবে মা।
আমাদের পছন্দ হয়েছে।
-এখন তাহলে আমি আসি বাবা রান্না করতে হবে।
> ঠিক আছে মা যাও।
.
দেখেছো সিহাবের মা বউমা আমাদের কত
লক্ষী।
সবার কথা তার মাথার ভিতরে থাকে,কখন কি
প্রয়োজন সেটা সে আগে থেকেই বুঝতে
পারে।
এমন বউমা কইজন বাবা মার কপালে জোটে।
> ঠিক বলেছো তুমি,
এমন বউমা সবাই পাই না।
.
.
তিথি বাবা মায়ের রুম থেকে রান্না ঘরে চলে
আসে,রান্না করতে থাকে তিথি।
কিছুক্ষন পরেই সিহাব চলে আসবে।
এখন ওর অফিস টাইম পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিথি রান্না করা শুরু করে দিয়েছে,হাতে তার অনেক
কাজ।
কিছুক্ষন পরে সিহাব চলে আসে,
তিথি বাইরে তাকিয়ে দেখে সিহাব নিজের রুমের
ভিতরে ঢুকলো।
একবার সিহাবের দিকে তাকিয়ে আবার তিথি রান্নার
দিকে মনযোগ দিলো।
.
.
তিথি রান্না করে চলেছে,
-
-কি ব্যাপার ওখানে দাড়িয়ে আছো কেনো?(তিথি)
> তোমাকে দেখছি (সিহাব)
-আমাকে দেখার কি আছে।
> এইযে সবার জন্য মার্কেট করে
এনেছো,দিয়েছিলাম তো শুধু তোমাকে।
-ভালো পোশাক দিয়ে আমি ঈদ করবো,আর সবাই
করবে না সেটা কি ধরনের আচরন হবে সিহাব,আর
আমার ভালো পোশাক দরকার নেই।
তাহলে বাড়ির সবাইকে অপমান করা হবে।
সেইজন্য ওই টাকার মধ্যে থেকে সব কিছু কিনে
নিয়েছি,সবার জন্য।
এখন সবাই অনেক খুশি।
-সত্যিই তিথি তোমার মতন মেয়ে বিয়ে করতে
পেরে আমি অনেক সুখি।
> থাক আর ঢং করতে হবে না।
আর আমাদের যা ইনকাম সেই অনুযায়ী আমাদের
খরচ করতে হবে।
অযথা বেশি খরচ করে টাকা ফুরানোর কি দরকার।
-সিহাব মনে মনে বলে,আমার চেয়ে ওর চিন্তাই
তো অনেক বেশি, তুমি আসলেই একজন প্রকৃত
নারী, এমন বউ ঘরে থাকলে কোন
স্বামীদেরকে কিচ্ছু চিন্তা করাও লাগবে না।
> সিহাব।
-বলো।
> আমি তোমার থেকে টাকা পয়সা কিছুই চাই না।
চাই শুধু একটু ভালোবাসা,
আর সবসময় তোমাকে আমার পাশে চাই।
> যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমার পাশে
থাকবো,তোমাকে ঘিরেই তো আমার বেঁচে
থাকা।
-যাও রুমে যাও, তোমার জন্য কেনা শার্ট আর বাকি
গুলো দেখো কেমন হয়েছে।
> যাবো না এখন।
-কেনো?
> তোমাকে দেখবো।আর একসাথে বসে
তোমার পছন্দ করার জিনিষ গুলো দেখবো।
-দুষ্টুমি করো না।
> না আমি এখানে থেকে তোমাকে দেখবো।
- জোর করছো।
> হ্যাঁ।
-কোন অধিকারে।
> ভালোবাসার অধিকারে।
-বসে থেকে আমাকে না দেখে,রান্নার কাজে
তো একটু হেল্প করতে পারো।
> আচ্ছা করতেছি,একটু থামো।
-পালানোর চিন্তা করছো নাকি।
> তোমাকে ছেড়ে পালানো অসম্ভব।
-তাহলে আলু সুন্দর করে পানি দিয়ে ধুয়ে কাটতে
থাকো,কেমন করে কাটতে হবে আমি বলতেছি।
- আচ্ছা বলো।
.
সিহাব তিথিকে রান্নার কাজে হেল্প করতে শুরু
করেছে।
এখন তাঁদের মাঝে রয়েছে অনাবিল
ভালোবাসা,যেটা টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব না।
সুখে থাকুক সিহাব আর তিথির মতন পরিবার গুলো।
No comments